নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়ায় থানায় হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও পুলিশের ওপর হামলা এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য পদ হারানো নুরুজ্জামান ওরফে নুরুর ৩ দিন করে ৬ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সাথে থানায় হামলা চালানোর ঘটনায় গ্রেফতারকৃত বাকি আট আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত -৩ রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বগুড়া কোর্ট পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন।
তিনি জানান, থানায় হামলার ঘটনায় শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদ্য বহিষ্কারকৃত সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরুসহ সাদ্দাম হোসেন রবিন, রমজান আলী, সাইদুর রহমান খোকন, বোরহান উদ্দিন, সেরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মো. মিতুল এবং ওয়াবুজ্জামান রাতুলের তিন দিনের রিমান্ড এবং অবৈধ অস্ত্র ও মাদক মামলায় নুরুজ্জামানের আরও তিনদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উল্লেখ, গত ৬ এপ্রিল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৯টায় আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযানে মদ্যপ অবস্থায় মাদক, ২টি বার্মিজ চাকু ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান ওরফে নুরু অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে থানায় প্রবেশ করে আসামি মিঠুন মিয়াকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহিদুল ইসলামকে ধাক্কা দেয় এবং অপর পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে পালিয়ে যায়। মারপিটে অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নুরুজ্জামানসহ আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করতে মাঝিড়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় জেলা পুলিশ, র্যাব ও ডিবির সদস্যরা নুরুসহ ৯জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় অভিযান পরিচালনা করে নুরুর বাড়ি থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল এবং নুরুর ম্যানেজার নাজমুলের বাড়ি থেকে ৮ রাউন্ড গুলিসহ আরও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। গ্রেফতারের পর নুরুজ্জামানকে দল থেকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
Leave a Reply